বিরই (Biroi) চাল মূলত এমন এক ধরনের লাল চাল যা আদি জাতের আমন চাল। এই চাল সাধারণত সিলেটের হাওড় অঞ্চলে চাষ করা হয়। এই অঞ্চলে চাষের বৈশিষ্ট্য হলো এদিকের ধান পুরোপুরি প্রাকৃতিক পরিবেশে চাষ করা হয়। ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রভাব মুক্ত।
বিরই চালের উপকারিতা –
১। এই চালে সুস্থতার জন্য আবশ্যক কিছু পুষ্টি উপাদান যেমন থায়ামিন, নায়াসিন, পেন্টোথেনিক অ্যাসিড, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রণ, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম ইত্যাদি উপস্থিত থাকে।
২। এতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার বা খাদ্য আঁশ যা আমাদের জন্য আবশ্যক।
৩। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। যার ফলে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এই চাল বেশ উপযোগী।
৪। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর খুব ভালো উৎস।
৫। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই হ্রাস করা সম্ভব।
৬। এটি নিয়মিত গ্রহণ করলে গলগণ্ড, ক্যান্সার এর মতন রোগের ঝুঁকি কমে।
৭। এটি অনেকটা সময় পেট ভরা রাখে এবং ক্ষুধা কমায়। ফলে অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা অনেকটাই সহজ হয়।
৮। পাকস্থলী এবং সর্বপরি পরিপাক তন্ত্রের ক্রিয়া সচল রাখতে বেশ কার্যকরী।
৯। এতে বিদ্যমান বিভিন্ন উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
১০। এতে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম হাঁড় ও দাঁতের সুস্থতায় ভীষণ উপযোগী।
১১। এটি দৈনিক ম্যাঙ্গানিজ চাহিদার প্রায় ৮৮ শতাংশ পূরণে সক্ষম।
১২। সেলেনিয়ামের মতন গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের যোগান ও শোষণ নিশ্চিত করে দেহকে সুরক্ষিত রাখে।
খাস বিরই (Biroi) চাল কেনো ব্যতিক্রম?
১। সিলেটের হাওড় অঞ্চল থেকে সংগৃহীত। ফলে প্রাকৃতিক ভাবে চাষকৃত চালের নিশ্চয়তা।
২। পানিতে প্রায় তিন ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে এরপর সিদ্ধ করা হয়।
৩। নিজস্ব তত্ত্বাবধানে চাতালে শুকিয়ে ছোট মেশিন বা হাস্কিং মেশিনে ভাঙানো হয়।
৪। অটো রাইস মিলে ভাঙানো হয় না বলে এর পুষ্টিগুণ অটুট থাকে।
৫। এটি হাফ ফাইবার সমৃদ্ধ চাল।
Got The Question About This Product?
You must be logged in to post a comment.