ব্রাউন রাইস (Brown rice) স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করে। এই চাল অন্যান্য চালের মতনই হয়, তবে পার্থক্য হচ্ছে এতে ব্রান লেয়ার উপস্থিত থাকে। ফলে এটি দেখতে হালকা লালচে দেখায়। তাই একে লাল চাল হিসেবেও আখ্যা দেওয়া হয়। এই ব্রান লেয়ার মূলত ধানের শক্ত আবরণ বা খোসার ঠিক নিচের অংশ। অটো রাইসমিলে চাল ভাঙানোর সময় পলিশিং ও কাটিং এর জন্য এই আবরণটি নষ্ট হয়ে যায়। চাল ভাঙানোর প্রক্রিয়ার উপরই মূলত নির্ভর করছে চালের পুষ্টিমান কতটা বজায় থাকে।
ব্রাউন রাইস (Brown rice) এর উপকারিতা –
১। এই চালে সুস্থতার জন্য আবশ্যক কিছু পুষ্টি উপাদান যেমন থায়ামিন, নায়াসিন, পেন্টোথেনিক অ্যাসিড, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রণ, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম ইত্যাদি উপস্থিত থাকে।
২। এতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার বা খাদ্য আঁশ যা আমাদের জন্য আবশ্যক।
৩। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। যার ফলে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এই চাল বেশ উপযোগী।
৪। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর খুব ভালো উৎস।
৫। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই হ্রাস করা সম্ভব।
৬। এটি নিয়মিত গ্রহণ করলে গলগণ্ড, ক্যান্সার এর মতন রোগের ঝুঁকি কমে।
৭। এটি অনেকটা সময় পেট ভরা রাখে এবং ক্ষুধা কমায়। ফলে অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা অনেকটাই সহজ হয়।
৮। পাকস্থলী এবং সর্বপরি পরিপাক তন্ত্রের ক্রিয়া সচল রাখতে বেশ কার্যকরী।
৯। এতে বিদ্যমান বিভিন্ন উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
১০। এতে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম হাঁড় ও দাঁতের সুস্থতায় ভীষণ উপযোগী।
১১। এটি দৈনিক ম্যাঙ্গানিজ চাহিদার প্রায় ৮৮ শতাংশ পূরণে সক্ষম।
১২। সেলেনিয়ামের মতন গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের যোগান ও শোষণ নিশ্চিত করে দেহকে সুরক্ষিত রাখে।
কেনো খাস ব্রাউন রাইস ব্যতিক্রম?
১। বগুড়ার রঞ্জিত ধানের চাল ব্রাউন রাইস বা লাল চাল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
২। অটো রাইসমিলের পরিবর্তে গ্রামের হাস্কিং মিলের ২ নং হলারে ভাঙানো হয়। ফলে চালের পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।
৩। কোন রকম পলিশিং বা কাটিং করা হয় না।
৪। কালার সর্টিং মেশিনে দেওয়া হয় না। এই মেশিন মরা চাল ও কাকঁড় আলাদা করার পাশাপাশি চালের ব্রান লেয়ার নষ্ট করে দেয়। ফলে চালের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়।
৫। এতে আঁশ সঠিক পরিমাণে বজায় থাকে।
Got The Question About This Product?
You must be logged in to post a comment.
এ চাল আপনারা কোথার থেকে আনছেন?
স্যার, আমরা ব্রাউন রাইস হিসেবে বগুড়ার রঞ্জিত ধানের চালকেই বেছে নিয়েছি। গ্রামের হাস্কিং মিলের ২ নং হলারে ভাঙানো হয়েছে আমাদের এই চাল।
আপনাদের এই চাল গত ২ বছর নিচ্ছি, খুবি ভালো তবে ইদানিং চালে প্রচুর কালো মরা চাল থাকে, না বেছে রান্না করা যায় না – ঘটনা কি?
স্যার, যেহেতু এ চাল হাস্কিং মিলে ভাঙ্গানো হয়ে থাকে এবং কোনরকম সর্টিং করা হয় না। তাই কিছুটা এমন অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা হতে পারে।
এই চালে কি ফাইবার আছে?
জ্বী, আমাদের কোন চালই আমরা কোন ধরণের কাটিং বা পলিশিং করিনা যার কারণে এতে জার্ম লেয়ার বিদ্যমান থাকে।
আপনি নিশ্চিন্তে অর্ডার করতে পারেন।
৬০-৬৫ টাকা কেজি করে এই চাল দেয়া যায় না? 🤔
দুঃখিত স্যার, বর্তমানে চালের বাজারমূল্য বেশি। ফলে আপনার কাঙ্ক্ষিত মূল্যে দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। তাছাড়া আমরা এক জাতের চালের সাথে অন্য জাতের চালের মিশ্রণ করিনা। অনেকেই বেশি দামী চালের সাথে কম দামী চালের মিশ্রণ করে কম মূল্যে বিক্রি করে যা আমরা করছিনা। আমরা সরবরাহ করছি হাস্কিং মিলে ভাঙ্গানো কাটিং, পলিশং মুক্ত স্বাস্থ্যসম্মত চাল।
১ কেজির প্যাকেট কিনতে চাই। চালের মধ্যে বালির দলা পেয়েছি তা খেয়াল করবেন দয়া করে।
স্যার, আপনার খারাপ অভিজ্ঞতার জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। গ্রামের হাস্কিং মিলের ২ নং হলারে ভাঙানো হয়েছে আমাদের এই চাল। যেহেতু এ চাল হাস্কিং মিলে ভাঙ্গানো হয়ে থাকে এবং কোনরকম সর্টিং করা হয় না। তাই কিছুটা এমন অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা হতে পারে। আমরা চেষ্টা করে থাকি আমাদের সাধ্যমতো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার। পরবর্তিতে এমন সমস্যার সম্মুখীন হলে আমাদেরকে জানানোর অনুরোধ রইলো, আমরা যথাযথ সমাধান করব ইন শা আল্লাহ।
বিস্তারিত জানতে অনুগ্রহপূর্বক ফোন করুন 09612002255 নাম্বারে।
এটা কিভাবে Brown Rice হয়? রান্ন করলে white rice এর মতই হয়।
ধানের জাতের পার্থক্য ভেদে চালের রঙ সাদা বা বাদামি হতে পারে। আমাদের সরবরাহকৃত ব্রাউন রাইস সাধারণত খালি চোখে দেখতে সাদা দেখায়। তবে আপনি একে সাধারণ চালের সাথে তুলনা করে দেখলে পার্থক্যটা ধরতে পারবেন আশা করি। আমরা ব্রাউন রাইস হিসেবে বগুড়ার রঞ্জিত ধানের চাল দিচ্ছি। গ্রামের হাস্কিং মিলের ২ নং হলারে ভাঙানো হয়েছে এই চাল। আর এতে ব্রান লেয়ার (ও জার্ম) থাকার কারণে এটি ব্রাউন হয়। এটা কোন রকম পলিশিং বা কাটিং করা হয়না বলেই একে মূলত ব্রাউন রাইস বলা হয়।