তিসির তেল (Flaxseed Oil) একপ্রকার গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। ইংরেজিতে যার বৈজ্ঞানিক নাম Linum Usitatissimum। মূলত শস্য বীজ হিসেবে তিসির চাষ করা হয় আমাদের দেশে। তিসি বীজ গাছের প্রতিটি অংশ আমাদের কাজে লাগে। যেমন তিসির গাছের বাকল বা আঁশ থেকে আমরা লিনেন জাতীয় কাপড় তৈরি করি। তিসির ফুল দিয়ে নানা রকম ঔষুধি কাজে ব্যবহার করা হয়। তিসির ফল মানে তিসির বীজ থেকে আমরা তিসির তেল পেয়ে থাকি। সুতরাং তিসির প্রতিটি অংশ আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়।
তিসির তেল প্রায় হাজার বছর আগে থেকে মানুষ ব্যবহার করে আসছে। বলা যায়, মানুষের আদিম সভ্যতার শুরুর সময় থেকে তিসির তেলের ব্যবহার শুরু হয় এবং তা এখনও বিদ্যমান। তিসির তেলের মূল পুষ্টি উপাদান হচ্ছে ওমেগা ফ্যাটি -৩ এসিড। যা আমরা সাধারণত মাছের তেল থেকে পেয়ে থাকি। এছাড়া আরও রয়েছে ALA (Alpha linolenic acid), DHA (Docosahexanoic acid), EPA (Eicosapentanoic acid), অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটাক্যারটিন, ভিটামিন -ই, কে, ফ্যাটি এসিড, লিপিড ইত্যাদি।
তিসির তেলের উপকারিতা
১। শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।
২। খাদ্য হজমে সহায়তা করে।
৩। অতিরিক্ত মেদ কমায়।
৪। তিসির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্লাড ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৫। গ্যাস্ট্রিক ও আলসার দূর করে এবং অ্যাজমা থেকে রক্ষা করে।
৬। যারা তামাক বা অন্য নেশায় আক্রান্ত থাকে তাদের জন্য তিসি খুবই উপকারী। এটি নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খাওয়ার পর অল্প পরিমাণ তিসি চাবালে দ্রুত নেশা থেকে মুক্তি পেতে পারেন একজন রোগী।
৭। যারা উচ্চ রক্তচাপের রোগী তারা তাদের খাদ্য তালিকায় তিসি রাখতে পারেন। এর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও অ্যামাইনো এসিড উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
৮। তিসি আমাদের হৃদপিণ্ডকে সবল রাখতে কাজ করে। হার্টে ব্লক বা ইরেগুলার হার্টবিট রোধ করতেও অনেক সাহায্য করে।
৯। গবেষণা থেকে জানা গেছে, তিসি আমাদের শরীরের HDL (ভাল কোলেস্টেরল) বাড়ায় এবং খারাপ কোলেস্টোরালকে (LDL) কমায়। যা হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্য খুবই উপকারী।
১০। নিয়মিত তিসির তেল সেবন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রাখে।
১১। তিসি আমাদের হতাশা ও দুশ্চিন্তা দূর করে। মেজাজ ফুরফুরে রাখে।
১২। এটি আমাদের শরীরের ক্যলসিয়াম লেভেল বাড়ায়। ফলে হাড় ও শরীরের জয়েন্টগুলো সুস্থ থাকে।
১৩। এটি মুখের বলিরেখা প্রতিরোধ করে, চুল পড়া রোধ করে, ত্বককে মসৃণ রাখে, ত্বক উজ্জ্বল রাখে, যৌবন ধরে রাখে।
১৪। এটি ব্রণ ও যেকোন চামড়া জাতীয় রোগ প্রতিরোধ করে। এটি মাথায় খুশকি হতে দেয় না এবং মাথার ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ঠিক রাখে।
কেন খাবেন খাস ফুডের তিসির তেল (Flaxseed Oil)?
• উচ্চমানের পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ
• শতভাগ নিরাপদ
• হৃদরোগীদের জন্য আদর্শ খাবার
• ডায়াবেটিস প্রতিরোধে খুবই দরকারী
• বাছাই করা তিসি দানা থেকে উৎপাদিত
• নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত তেল
তবে খেয়াল রাখতে হবে যে অতিরিক্ত তিসির তেল গ্রহণ করা অনুচিৎ। এক্ষেত্রে অবশ্যই পুষ্টিবিদের শরণাপন্ন হওয়া আবশ্যক।
Got The Question About This Product?
You must be logged in to post a comment.
bebohar kore upokar peyechhi. boro size anben pls
ব্যাবহার করে অরিজিনালই মনে হয়েছে। ভাল
how to use it?
স্বাস্থ্য উপকারিতায় তিসির তেল
স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী তিসির তেল। নিয়মিত এই তেল সেবন করলে দেহের অনেক ক্ষতিকর জীবাণু বা মারাত্মক রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। যথাঃ
১) ওজন কমানোর জন্য
বর্তমান সময়ে ডায়েট চার্টে তিসির তেল ডাক্তারগণ যুক্ত করতে বলেন। কারন আমাদের দেহের কোলন সিস্টেম উন্নত করে এবং পাকস্থলীর হজম কাজে সহয়তা করে। তাছাড়া শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
২০১৫ সালে নিউট্রিশন জার্নালের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ডায়েট প্ল্যানে তিসির তেল যুক্ত করলে সহজেই ওজন কমানো সম্ভব হয়।
২) কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
বর্তমানে আমরা সবাই কম-বেশি এই সমস্যা ভুগে থাকি। বেশির ভাগ সময় বাইরের খাবার খেয়ে পেটে গ্যাসের সমস্যা হয় এবং পরে তা কোষ্ঠকাঠিন্য। তিসির তেল আপনার এই প্রতিদিনের সমস্যা থেকে মুক্ত করতে সাহায্য করবে।
৩) ডায়রিয়া সমস্যার সমাধান
অনেকেই আছেন ঘন ঘন ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে পড়েন। নিয়মিত তিসির তেল সেবন করলে এই সমস্যা দূর করবে। কারন তিসির তেল আপনার মেটাবলিজম সিস্টেম উন্নত করতে সাহায্য করে।
৪) ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই
বর্তমান সময়ে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা নেতিবাচক হারে বেড়ে চলেছে। তিসির তেল আপনাকে প্রাকৃতিক ভাবে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করবে। বিশেষ করে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে। ALA (alpha linolenic acid) যা শরীরে থাকা ক্যান্সারের কোষ তৈরি হতে বাধা দেয়।
২০১৫ সালে দ্যা জার্নাল নিউট্রিশন এন্ড ক্যান্সার সাপোর্ট এর এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, সস্তায় এবং কার্যকরি ভাবে ক্যান্সারের প্রতিরোধ তৈরি করা যায় নিয়মিত তিসির তেল খাওয়ার মাধ্যমে।
৫) হার্ট ভালো রাখে
তিসির তেল হার্ট কে বিশষ ভাবে সুরক্ষা দেয়। কারন এতে থাকা Alpha linolenic acid হার্টকে সুস্থ রাখে এবং হার্টজনিত সকল রোগকে দূরে রাখে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, যদি কোন ব্যক্তি প্রতিদিন ১.৫ গ্রাম তিসির তেল সেবন করলে। তার ৫০ শতাংশ হার্টের স্বাস্থ্য ঝুকি কমে যায়।
৬) সোগেনস হ্রাস করে
এই রোগটা সম্পর্কে আমরা হয়তো ভালো করে জানি না।সাধারণত এর লক্ষন হচ্ছে চোখের কোণা গুলো লাল হয়ে যায় এবং মুখের ভিতরটা শুকিয়ে যায়। পানি খেলেও তৃষ্ণা মেটেনা আর একটা সময় মুখের ভেতর দাতের মাড়ি গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে। ফলে ওরাল সমস্যা দেখা যায়। অনেক সময় শরীরের টিস্যু গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিশ্বের প্রায় সাত লক্ষ লোক এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আশার কথা হচ্ছে, নিয়মিত তিসির তেল সেবনে এই রোগ এর অনেকটা সমাধান করবে।
৭) কোলেস্টেরল কমায়
তিসির তেল আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাএা কমাতে সাহায্য করে। খারাপ কোলেস্টেরল LDL কে উল্লেখযোগ্য হারে কমায় তিসির তেলে থাকা ALA (alpha linolenic acid)।
এক গবেষণায় দেখা যায়, হাই- কোলেস্টেরল একজন রোগী। যদি প্রতিদিন এক চা-চামচ তিসির তেল গ্রহন করেন তাহলে ১২ সপ্তাহের মধ্যে কোলেস্টেরল এর মাএা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
৮) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও ঝুঁকি কমায়
প্রায় প্রতিটি ঘরে একজন করে ডায়াবেটিক রোগী পাওয়া যাবে। বলতে সাধারণ একটি রোগ পরিনত হয়েছে ডায়াবেটিস। নিয়মিত তিসির তেল সেবনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
প্রি-ডায়বেটিস রোগীর সংখ্যা ও কিন্তু কম নয়। সেখানেও আপনাকে সাহায্য করবে তিসির তেল। দৈনিক ১৩ গ্রাম তিসির তেল সেবন করলে মাএ সপ্তাহের মধ্যে এই মারাত্মক ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।
তবে অতিরিক্ত মাএায় তিসির তেল সেবন স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত তিসির তেল সেবন স্বাস্থ্যের পক্ষে শ্রেয়।
Ei tel Ki ranna kora jabe?or else,ranna shesh kore khabar mix korbo?
এটা দিয়ে আপনি রান্না করতে পারবেন আবার রান্না ছাড়াও খেতে বা শরীরে মাসাজ করতে পারবেন ইন শা আল্লাহ।
product ti kokhon available hobe?
দুঃখিত স্যার, বিষয়টি সঠিকভাবে বলা যাচ্ছেনা।