খাদ্যের গুনাগুণ

বাদাম নিয়ে যত কথা

বাদাম

ভজন রসিক মানুষের রসনায় প্রাচীন কাল থেকেই বহু ধরনের মিক্স ব্যবহার হয়ে আসছে। বিভিন্ন সুস্বাদু রান্নায় বাদামের ব্যবহারটাও বেশ পুরাতন। খাবারের স্বাদ ও পুষ্টিমান বহু গুনে বাড়িয়ে তুলতে বাদাম অনন্য ভূমিকা রাখে।

কাজুবাদাম, চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম ইত্যাদি কত রকমের বাদামই না আছে! ভিন্ন স্বাদের এ সকল বাদাম ভিন্নরকম খাদ্য গুনাগুনে ভরপুর।

যেমন বিরিয়ানি বা সালাদে ভাজা কাজুবাদামে কামড় পড়তেই খাবারের স্বাদটা যেন দ্বিগুণ হয়ে গেল।

এছাড়াও পায়েস, ক্ষীর, সন্দেশ, হালুয়া, লাচ্ছি, মিল্কশেক ইত্যাদি নানান মুখরোচক খাবার তৈরিতে কাজুবাদাম শুধু স্বাদই বৃদ্ধি করে না, বরং খাবারকে করে তোলে অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত।

খালি খাওয়া হোক বা অন্য কোনো রেসিপি দিয়ে; কাজুবাদামে উপস্থিত প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং ভিটামিন নানা ভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে।

এতো বেশি মাত্রায় ভিটামিন রয়েছে এ বাদামে যে চিকিৎসকেরা একে প্রাকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট নামেও ডেকে থাকেন। 

সুস্বাদু ও পুষ্টিগুনে ভরা নোনা কাজুবাদাম পেতে ঘুরে আসতে পারেন খাস ফুডের নিকটবর্তী আউটলেট থেকে। ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার করেও বাড়িতে বসে প্রতিদিন খেতে পারেন মজাদার এ বাদাম।

আবার ধরুন কাঠবাদাম। বহুল পরিচিত এ বাদাম আমরা প্রায় হালকা লবন-মরিচ দিয়ে খাই। হয়ত জেনে অবাক হবেন কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে এনার্জি, কার্বোহাইড্রেট, আঁশ, ফ্যাট, প্রোটিন, থায়ামিন, রাইবোফ্লেভিন, নিয়াসিন- ৪ মিলিগ্রাম প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড অয়েল, জিঙ্ক, ফলিক অ্যাসিড ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

বাব্বাহ! নিজের অজান্তেই রাস্তাঘাটে বাদাম চিবুতে চিবুতে কতগুলো প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান পেয়ে গেছি জীবনে! তবে শুধু খালি খাওয়ার জন্যই নয়, রান্নায় একটি অন্যতম উপাদান হিসেবে এ বাদাম বেশ জনপ্রিয়।

গোস্ত রান্নায় কাঠবাদামের পেষ্ট অসাধারণ ঘ্রাণ ও সুস্বাদের জোগান দেয়।

উৎসবের পায়েস, সেমাই , পোলাও সাজাতে গেলেই সবার আগে মনে পড়ে মজাদার পেস্তা বাদামের কথা।

সুস্বাদু এ বাদামে রয়েছে মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা কোলেস্টেরল লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও কার্যকর।

প্রোটিন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি নানাবিধ খাদ্যগুনাগুনের দারুণ উৎস হচ্ছে পেস্তা বাদাম।

মুখরোচক স্ন্যাকস হিসেবে খ্যাত চিনা বাদাম! বাড়িতে, অফিসে সর্বত্র খাওয়ার জন্য এর জুড়ি মেলা ভার।

সুস্বাদু চিনা বাদাম ক্যালরি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ফ্যাট, ওমেগা -৬, ভিটামিন ই, আয়রন, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়ামের মতো খাদ্য গুনে পরিপূর্ণ। 

প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে মজাদার এ বাদাম খেলে স্বাস্থ্যকর ওজন এবং জীবনধারা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

চিনা বাদাম রক্তচাপ সঠিকভাবে বজায় রাখতে এবং পেশী শক্তিশালী করতে বেশ কার্যকরী।

বেশ কিছু গবেষকদের মতে, কেউ যদি প্রতিদিন পরিমিত বাদাম খাওয়া শুরু করে, তাহলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের প্রবেশ ঘটে, যা শরীরকে তো তরতাজা করেই! সেই সঙ্গে দেহ থেকে একাধিক রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

Leave a Reply