গরুর মাংস (Beef)
আমাদের দেশে দেশী ষাঁড় গরুর গোশতের চাহিদা অনেক। কিন্তু সমস্যা হলো বাজারে বা বিভিন্ন সুপারশপে আমরা যে গরুর গোশত পাই, সেগুলো দেশী কিনা কিংবা ফ্রেশ কীনা সেটা নিয়ে উদ্বেগের শেষ নেই। আর তাই, আপনার পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী নিশ্চিতভাবেই দেশী এবং সেরা মানের গরুর গোশতের সরবরাহের দায়ীত্ব নিয়ে নিয়েছে খাসফুড!
আমাদের গরু গোশত বাজারের গোশতের চেয়ে গুণে ও মানে ব্যতিক্রম। লালন-পালন থেকে শুরু করে জবাই করা পর্যন্ত নিজস্ব তত্বাবধানে নিশ্চিত করা হয় যাতে কোনো ধরনের ক্ষতিকর উপাদান উৎপাদিত গোশতে না থাকে। বাজারের বিষাক্ত ফিড না খাইয়ে বরং প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয় আমাদের দেশি ষাঁড় গরুগুলোকে। সেই সাথে নেপিয়ার ঘাস, চালের গুঁড়া, ভুট্টা, খৈল, ছোলা ইত্যাদির সমন্বয়েও তৈরি করে খাওয়ানো হয় দৈনন্দিন খাবার। রোগ জীবাণুর আক্রমণ ঠেকানোর জন্য নিশ্চিত করা হয় আলো-বাতাসযুক্ত উন্নত পরিবেশ। এরই ফলশ্রুতিতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন খামারে লালিত আমাদের এই ষাঁড় গরুগুলোর সেরা মানের এবং স্বাদের গোশতের নিশ্চয়তা পাচ্ছেন আমাদের কাছে।
আমাদের গরুর মাংস আর বাজারের গরুর মাংসের মধ্যে পার্থক্য
১. সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে লালন পালন করা হয়।
২. মোটাতাজা বা বেশি মাংস পাওয়ার জন্য কোন রকম ক্ষতিকর এন্টিবায়োটিক বা অসাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো হয় না।
৩. আর ওজনের দিক থেকে ঠিক থাকবে ইনশাআল্লাহ্ ।
৪. চর্বি এবং হাড়ের পরিমাণ যা বলা হয়েছে (প্রতি কেজিতে আনুমানিক ২৫০ গ্রাম) তার চেয়ে কম পরিমাণেই দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এর থেকে বেশী হলে টাকা রিফান্ড করে দেয়া হয়।
৫. গোশত হালাল হওয়ার জন্য ধর্মীয় বিধি নিষেধ মেনে গরু জবাই করা জরুরী। ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার” বলে গরু জবাই না করলে সেটা ভক্ষণ করা হারাম বলে গণ্য হবে। কসাইখানাতে যারা জবাই করে তারা এ বিষয়ে কতটুকু সচেতন? আমাদেরকে কি তারা হালাল গোশত সরবরাহ করতে পারছে?
৬. জবাইয়ের পর গরুর গোশত আমরা পানিতে চুবাই না; তাই ওজনে নেই কোন সূক্ষ্ম বা স্থুল কারচুপি।
৭. যেদিন জবাই করা হয় ঐ দিনেই ডেলিভারি করে শেষ করা হয়। কিন্তু বাজারে এসব নিশ্চয়তা আপনাকে দিবেনা। বাজারে কিনতে গেলে আপনাকে প্রতি কেজিতে এর অনেক বেশি হাড়/চর্বি ইত্যাদি দিতে পারে। এসব বিবেচনা করলে আপনি দেখতে পাবেন আমাদের গরুর মাংসের দাম কোন মতে বেশি নয়।
Got The Question About This Product?
You must be logged in to post a comment.