মুড়ি (Puffed rice) বাঙালির জন্য এক ঐতিহ্যবাহী খাবারই বলা যায়। সাধারণত সকালে বা বিকালে নাস্তা হিসেবে এটি অধিক প্রচলিত। এছাড়াও স্ট্রিট ফুড হিসেবেও আমাদের দেশে এর জনপ্রিয়তা শীর্ষে অবস্থান করছে বলেই বলা যায়। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এবং নেপালেও এর জনপ্রিয়তা বেশ লক্ষ্যনীয়।
মুড়ি মূলত একটি শষ্যজাতীয় খাবার। এটি ধান থেকে তৈরি একধরনের খাবার যা কিছুটা স্ফীত যার জন্য ইংরেজিতে একে puffed rice বলা হয়। অনেকে আবার একে ভাজা চালও বলতে পারেন। চাল বীজকে উত্তপ্ত করে বাষ্পের উপস্থিতিতে উচ্চচাপে প্রস্তুতকৃত খাবারই হচ্ছে মুড়ি।
মুড়ির পুষ্টিমূল্য
প্রতি ১০০ গ্রাম মুড়িতে রয়েছে –
- ক্যালরি – ৪০২
- কার্বোহাইড্রেট – ৯০ গ্রাম
- প্রোটিন – ৬ গ্রাম
- ফ্যাট – ০.৫ গ্রাম
- ডায়েটারি ফাইবার – ১.৭ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম – ৬ গ্রাম
- সোডিয়াম – ৩ গ্রাম
- পটাসিয়াম – ১১৩ মিলিগ্রাম
এটি এমন একটি খাবার যা গ্রহণ করলে অনেকক্ষন পেট ভরা থাকে, ক্ষুধা নিবৃত্ত হয়। ফলে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে বেশ সহায়ক হিসেবে গণ্য করা হয়। পাশাপাশি উচ্চ কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় নিয়ন্ত্রনে রাখতেও এই খাবারটি চমৎকার ভূমিকা রাখে।
কেনো খাস ফুডের মুড়ি (Puffed rice) সেরা?
১। মেশিনে নয় বরং হাতে ভাজা। ফলে ইউরিয়া বা অন্য কোন রাসায়নিক এর ব্যবহার মুক্ত।
২। বরিশাল অঞ্চলের পলিমাটিতে উৎপাদিত নাকুচি ধান থেকে উৎপাদিত।
৪। মেশিনের মুড়ির মতন ভিতরে ফাঁপা নয়।
খাস ফুডের হাতে ভাজা মুড়ির মেয়াদ থাকে প্যাকেজিং পরবর্তী ৬ মাস পর্যন্ত।
Got The Question About This Product?
You must be logged in to post a comment.
মুড়িটা ভাল। এটা আপনারা নিজেরাই তৈরি করেন?